কলকাতা: আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসকের মর্মান্তিক মৃত্যুতে চিকিৎসক সমাজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকালে সেমিনার হলে ওই তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ পাওয়া যায়, যা পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য পরিষেবা মহলে গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মৃত্যুর ঘটনা :
পালমোনোলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের স্নাতকোত্তর ছাত্রী ডাঃ XXXX দেবনাথকে (৩১) শুক্রবার সকালে আর জি কর মেডিকেল কলেজের একটি সেমিনার রুমে নীল রঙের ম্যাট্রেস উপর মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর মাথার কাছে ছিল ল্যাপটপ ও মোবাইল। সহকর্মী এক চিকিৎসক ডাকতে গিয়ে বুঝতে পারেন , তিনি মৃত এবং ম্যাট্রেস রক্তের দাগ রয়েছে। তরুণী চিকিৎসকের পোশাক ছিল অবিন্যস্ত। এই দৃশ্য দেখে সহকারি চিকিৎসকরা চিৎকার করে হলের বাইরে বেরিয়ে আসেন।
আর জি কর মেডিকেল কলেজের ডাক্তার মৃত্যুর পুলিশি তদন্ত ও আটক ১
টালা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তরুণী চিকিৎসককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়, যার ফলে গলার হাড় ভেঙে যায়।
ওই মহিলা চিকিৎসকের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। আর জি কর হাসপাতালের সহ চিকিৎসকরা অভিযোগ তোলেন, ওই মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পর প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা পুলিশকে জানান, বৃহস্পতিবার ভোর তিনটে থেকে সকাল ৬টার মধ্যে শ্বাসরোধ করে ঐ চিকিৎসককে খুন করা হয়। এত জোরে গলায় চাপ দেওয়া হয় যে, গলার হাড়ও ভেঙে যায়। খুনের আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়, এমন ইঙ্গিতও চিকিৎসকরা দিয়েছেন। দু’চোখ ও মুখ দিয়ে রক্ত গড়াচ্ছিল। বাঁ গোড়ালি, পেট, গলা, ডান হাত, ঠোঁট, মুখে ১০টিরও বেশি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যে ম্যাট্রেসের উপর তাঁকে পাওয়া যায়, সেখানে চুলের চিহ্ন মিলেছে। যৌনাঙ্গে ক্ষত ও ক্রমাগত রক্তপাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে । ঘটনাস্থলে ম্যাট্রেসের উপর চুলের ক্লিপ ও তরুনীর ভাঙা চশমা পাওয়া গেছে।
Just imagine the kind of pain and torture this bright young doctor had to face. These are the documented injuries as per the inquest report.CBI investigation should be conducted & culprits should be identified & harshest punishment should be given#JusticeForAishwarya #MedTwitter https://t.co/TNiYPGAVIh pic.twitter.com/r7oDwKKmeZ
— Dr.Shubham anand (@shubham_a_jha) August 9, 2024
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানান, তরুণীর ঠোঁট, মুখ, গালে আঘাতের চিহ্ন আছে। চাদরে রক্তের চিহ্নও মিলেছে। পুলিশের ধারণা, এই ঘটনার পিছনে থাকা অভিযুক্ত তরুণীর অতন্ত পরিচিত। রাতেই লালবাজার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা ‘সিট’ গঠন করে। বক্ষ বিভাগ সহ তিনতলার বিভিন্ন বিভাগে রাত আটটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত ডিউটিতে থাকা প্রত্যেক চিকিৎসক ও নার্সকে জেরাও করা হয়। এমনকী, কোনও নিরাপত্তারক্ষী, ওয়ার্ড বয়, সাফাইকর্মী ও হাসপাতালের অন্য কোনও কর্মী রাত দু’টো থেকে সকালের মধ্যে সেমিনার রুমের কাছে এসেছিলেন কি না, পুলিশ তার তদন্ত চালাচ্ছে। ধর্ষণ হয়ে থাকলে, সেটা গণধর্ষণ ছিল কিনা তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। কীভাবে সরকারি হাসপাতালের চারতলায় এই ঘটনাটি ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুক্রবার দুপুর থেকে উত্তাল হয় আর জি কর হাসপাতাল ও চিকিৎসক মহল।
পুলিশ সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, টানা ৩৬ ঘণ্টার ডিউটি ছিল ওই তরুণী চিকিৎসকের। নাইট ডিউটি চলাকালীন রাত এগারোটা নাগাদ তিনি ফোনে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। রাত দু’টো নাগাদ চেস্ট বিভাগেরই দুই জুনিয়র সহকর্মীর সঙ্গে ডিনার সারেন। এর পর তিনি বিশ্রাম নিতে সেমিনার হলে যান। সঙ্গে ছিল ল্যাপটপ ও মোবাইল। পুলিশের ধারণা, ল্যাপটপ খুলে কাজ করছিলেন তরুণী। তখনই আততায়ী ভিতরে আসে। আবার সে সেমিনার হলের ভিতর লুকিয়ে ছিল, এমনও হতে পারে। একাধিক ব্যক্তির থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। সম্ভবত সে পিছন থেকে হামলা চালায় তরুণীর উপর। তিনি বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। অচেতন অবস্থায় তাঁর উপর যৌন অত্যাচার করা হয়, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। তখনও তাঁর শরীরে প্রাণ ছিল।
পুলিশের ধারণা, কিন্তু যে এই কীর্তি করেছে, সে তরুণী চিকিৎসকের অত্যন্ত পরিচিত। তাই প্রমাণ লোপাটের জন্যেই শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়। শ্বাসরোধ করার সময় তাঁর মুখে রক্ত চলে আসে। সেই কারণে ঠোঁটে রক্তের চিহ্ন রয়েছে। এদিন সকাল ন’টার পর থেকে তরুণীর খোঁজ চলছিল। যে চিকিৎসক সকালের ডিউটি করতে আসেন, তিনি ফোন করেও তাঁকে পাচ্ছিলেন না। সেমিনার হলে খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন, পোডিয়ামের স্টেজের ভিতর চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছেন। মাথার কাছে ল্যাপটপ তখনও চলছে। মোবাইলও রয়েছে। কিন্তু দেহটি ঠান্ডা দেখে তিনি অন্য চিকিৎসকদের ডেকে আনার পর তাঁদের পায়ের অবস্থান দেখে সন্দেহ হয়। তাঁরা চাদর খুলে দেখেন, দেহের নিচের অংশে কোনও পোশাক নেই। তাতে তাঁদের সন্দেহ হয়। প্রাথমিকভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা শুরু হয়। তবে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুন ও ধর্ষণের মামলা রুজু হতে পারে।
- चिकित्सा लापरवाही: केरल के सरकारी मेडिकल कॉलेज अस्पताल में हुई गंभीर घटना
- “আরজি করের মতো অবস্থা করে দেবো” পূর্ব বর্ধমানে মহিলা চিকিৎসককে হুমকি সিভিক ভলান্টিয়ারের
- আর জি কর ধর্ষন কাণ্ডে গ্রেপ্তার, কলকাতা পুলিশেরই সিভিক ভলেন্টিয়ার : নৃশংস অপরাধের রহস্য উন্মোচন
- আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষন ও খুন নিরাপত্তা ও পরিকাঠামো নিয়ে উদ্বেগ
- সার্জারি পরবর্তী মৃত্যু, কাঠগড়ায় টাটা মেইন হাসপাতাল: ৭৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ NCR কমিশনের
এছাড়া, হত্যার আগে ধর্ষণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাঁর দেহের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে, এই ঘটনা অত্যন্ত পরিকল্পিত ও নৃশংসভাবে ঘটানো হয়েছে।
পুলিশ তরুণী চিকিৎসকের কললিস্টের সূত্র ধরে একজন সন্দেহভাজন যুবক সঞ্জয় রায়কে আটক করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সঞ্জয় ঘটনাটি ঘটার সময় সেমিনার হলে উপস্থিত ছিল। এই ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। লালবাজারে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে এবং তারা হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
আর জি কর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক মহলের প্রতিক্রিয়া ও দাবি:
আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী ডাঃ মধুমিতার হত্যার অভিযোগে শুক্রবার বিকেলে জুনিয়র ডাক্তারদের একটি অংশ কর্মবিরতি শুরু করে। তারা দাবি করে যে, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।জুনিয়র ডাক্তাররা আরও অভিযোগ করেন যে, রাতের শিফটে কাজ করা মহিলাদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই এবং বেসিক সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে। শুক্রবার রাতে প্রতিবাদকারীরা ঘোষণা করেন যে, জরুরি বিভাগ চালু থাকবে তবে অন্যান্য বিভাগগুলো বন্ধ থাকবে যতক্ষণ না তাদের দাবি পূরণ হয়। শুক্রবার রাত পর্যন্ত কর্মবিরতি চলছিল।
After heckling Teachers protesting for DA, Kolkata police heckled junior doctors of RG KAR protesting against murder of PGT student
— Subham. (@subhsays) August 9, 2024
Total support to the brave brothers and sisters. TMC POLICE should face the mirror. Touching new low everyday
pic.twitter.com/YHiDXpI9C5
মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ এবং অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন:
- দ্বিতীয় বর্ষের পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থীর মৃত্যুর তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
- বৃহস্পতিবার রাতে ডিউটিতে থাকা সকল ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
- অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।
- প্রতিটি বিভাগে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
- নিরাপত্তারক্ষীদের ২৪/৭ সতর্ক থাকতে হবে।
- চিকিৎসকদের জন্য সংযুক্ত টয়লেট সহ একটি উপযুক্ত ডিউটি রুম স্থাপন করতে হবে।
- হোস্টেলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
মেডিকেল কলেজের সিনিয়র কর্মকর্তারা এই ঘটনাটি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট-সহ-ভাইস-প্রিন্সিপাল সঞ্জয় বাসিষ্ট বলেন, “আমরা চাই মৃত্যুর পিছনের সত্যটা প্রকাশিত হোক।”
এই বৈঠকের আগে, জুনিয়র ডাক্তাররা হাসপাতাল থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত একটি মোমবাতি মিছিল করেন। কিছু জুনিয়র ডাক্তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন যে, তাদের রাতে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট কক্ষ নেই।
যে চিকিৎসক মারা গিয়েছেন, তার অনেক সহকর্মী জানান যে, তারা রাতে “স্লিপ টেস্ট” এর জন্য বরাদ্দ কক্ষে বিশ্রাম নিতেন। তবে সেই কক্ষও রোগীদের পরীক্ষা চলাকালীন পাওয়া যেত না।
একজন জুনিয়র ডাক্তার বলেন,
“রাতে আমাদের বিশ্রামের জন্য নির্দিষ্ট কোনো কক্ষ না থাকায়, আমাদের সহকর্মী রাতের খাবার শেষে রাত ২টায় সেমিনার রুমে গিয়েছিলেন। সকালে তাকে সেই কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক ওয়াশরুম নেই।”
More than 24 hours later, Bengal Chief Minister and Health Minister Mamata Bannerjee hasn’t said a word on the brutal rape and murder of a woman doctor in Kolkata’s RG Kar Hospital. But the character assassination has started. Who asked her to go to the Seminar Hall in the middle… pic.twitter.com/boAlBTjrX9
— Amit Malviya (@amitmalviya) August 10, 2024
জুনিয়র ডাক্তাররা আরও অভিযোগ করেন যে,
রাতে ডিউটিতে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা ঘুমিয়ে পড়তেন, যার ফলে রোগীদের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের ইচ্ছার উপরে তাদের নির্ভর করতে হতো, যাদের মধ্যে কেউ কেউ মদ্যপ অবস্থায় থাকতেন।
I am speechless. She was my alumni and Anatomy Demonstrator in 1st year. Raped and murdered in her own workplace. What is wrong with this society? I just pray state machinery doesn’t suppress this. The criminals should be hanged till death!#BREAKINGNEWS #MedTwitter #RGKar pic.twitter.com/ipfXZESUKM
— Dr. Abhinaba Pal (@abhinabavlogs) August 9, 2024
অন্য একজন চিকিৎসক বলেন
“আমরা ডিনের কাছে নিরাপত্তার অভাব নিয়ে বহুবার অভিযোগ করেছি। প্রতিটি অভিযোগের পরে, নিরাপত্তারক্ষীরা এক-দুই রাতের জন্য সতর্ক থাকেন এবং পরে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যান,” ।
পুলমোনোলজি বিভাগের কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার ক্যাম্পাস জুড়ে অপর্যাপ্ত সিসিটিভি কভারেজের অভিযোগ করেন।
আরজিকরের একজন মহিলা পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী বলেন,
“সেমিনার রুমে (যেখানে প্রশিক্ষণার্থীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে) সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। মাঝে মাঝে নিজেকে খুবই অসুরক্ষিত মনে হয়।”
এছাড়া, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি জানানো হয়েছে। তারা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
আর জি কর মেডিকেল কলেজে নিরাপত্তা ও পরিকাঠামো নিয়ে উদ্বেগ:
আরজিকর মেডিকেল কলেজে এই নৃশংস ঘটনার পর, হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পরিকাঠামোর অবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন যে, হাসপাতালে রাতের শিফটে কাজ করা মহিলাদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই এবং ডিউটি রুম বা বিশ্রামের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেই। এসব কারণে চিকিৎসকরা নিজেদের অসুরক্ষিত ও অনিরাপদ মনে করছেন।
এই ঘটনার পর, আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, কিভাবে সরকারি হাসপাতালের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে এমন একটি ঘটনা ঘটতে পারে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, যদি অবিলম্বে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া:
আরজিকর মেডিকেল কলেজের সিনিয়র কর্মকর্তারা এই ঘটনাটি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন, তবে মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট-সহ-ভাইস-প্রিন্সিপাল সঞ্জয় বাসিষ্ট জানিয়েছেন,
“আমরা চাই মৃত্যুর পিছনের সত্যটা প্রকাশিত হোক।”
হাসপাতালের পক্ষ থেকে তদন্তে পূর্ণ সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরজিকর মেডিকেল কলেজের এই মর্মান্তিক ঘটনাটি শুধু চিকিৎসক সমাজ নয়, গোটা স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও পরিকাঠামো নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোকে আরও সুদৃঢ় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Source